WBSSC-র তরফে যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা জমা শিক্ষা দপ্তরে, পরবর্তী পদক্ষেপ কী? জানুয়ারি বিস্তারিত –

WBSSC, কলকাতা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫ – রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত WBSSC ২০২৬ নিয়োগ আবারও উঠে এসেছে শিরোনামে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, স্কুল সার্ভিস কমিশন (wbssc) রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে পাঠিয়েছে তথাকথিত যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের মধ্যে আশার আলো যেমন জেগেছে, তেমনি প্রশ্নও উঠছে SSC-এর ভূমিকা নিয়ে।

wbssc

অবশেষে SSC-র তরফে তালিকা পাঠানো, কিন্তু কেন এত দেরি?

SSC-র বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি — এই চারটি ক্যাটাগরির জন্য প্রায় ১৯,০০০ প্রার্থীর তালিকা ইতিমধ্যেরাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে মূলত বিবেচনা করা হয়েছে প্রার্থীদের টেট নম্বর, ওএমআর শিট, ইন্টারভিউ স্কোর এবং মেধাতালিকা সংক্রান্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে । যদিও SSC দাবি করছে তারা নিরপেক্ষভাবে এই কাজ করেছে, প্রার্থীদের একাংশ বলছেন— “এই তালিকা যদি এতদিন SSC-এর কাছে ছিল, তাহলে তা সুপ্রিম কোর্টে কেন জমা দেওয়া হয়নি?

SSC-র নিয়োগ বাতিলের ধাক্কা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা

স্মরণযোগ্য, ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও কর্মী নিযুক্ত হন। কিন্তু দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি তাঁদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে চাকরি বাতিল করে দিয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার পরিবারে নেমে আসে অনিশ্চয়তার অন্ধকার।

এহেন পরিস্থিতিতে SSC-এর পক্ষ থেকে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানো কিছুটা হলেও আশার আলো নিয়ে এসেছে রাজ্যে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কাছে। তবে এখানেই শেষ নয় — এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর কীভাবে এই তালিকা ব্যবহার করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এদিকে প্রার্থীদের দাবি: স্বচ্ছতা আনুন, ওএমআর শিট প্রকাশ করুন

চাকরি হারানো প্রার্থীদের অনেকেই দাবি জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র তালিকা নয় — SSC-কে ওএমআর শিটের মিরর কপি ও সম্পূর্ণ স্কোরকার্ড প্রকাশ করতে হবে ।যার ফলে পরিষ্কার হবে কে কোথায় কত নম্বর পেয়েছে এবং কাদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।এটি করলে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়বে এবং ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে ।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রশাসনিক নড়াচড়া

এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি নানা প্রশ্ন তুলেছে— “চাকরি বাতিল হওয়ার পরই যদি তালিকা তৈরি হয়, তবে আগে কেন করা হয়নি?” অন্যদিকে, শিক্ষা দপ্তর বলছে তারা জেলা পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করছে, এবং SSC-এর দেওয়া তথ্য যাচাই করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

WBSSC 2016-এর এই তালিকা নতুন করে হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশীর মনে আশার সঞ্চার করেছে। তবে শুধু তালিকা পাঠানোই যথেষ্ট নয় — এখন SSC ও শিক্ষা দপ্তরের সম্মিলিত উদ্যোগেই নির্ধারিত হবে এই প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ।

তালিকা অনুযায়ী কারা “টেন্টেড” (অযোগ্য) আর কারা “নন-টেন্টেড” (যোগ্য) — সেই বিষয়টি স্বচ্ছভাবে জনসমক্ষে আনলে তবেই মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারবে।

Leave a Comment

Home
Recent Posts
Scheme News
More News
× Add a menu in "WP Dashboard->Appearance->Menus" and select Display location "WP Bottom Menu"