রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প। পুজোর আগেই এই প্রকল্পে নতুন চমক ঘোষণা করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে রাজ্যের মহিলাদের পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হতে চলেছে। মূলত লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়। যার ফলে তারা স্বনির্ভর হয়েছে। বর্তমানে এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জনপ্রিয়তা রাজ্যের গণ্ডি ছেড়ে পৌঁছেছে ভিন রাজ্যেও। WB Lakshmir Bhandar Scheme Update
এই লক্ষী ভান্ডারের আদলেই উড়িষ্যা সরকার ও মহারাষ্ট্র সরকার তাদের রাজ্যের মহিলাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কারণ ২০২১ বিধানসভা ভোটের পর যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন, তার পরবর্তীকালে তার জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে তার ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে প্রচুর। এইসব কারণেই আমাদের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আদলে নতুন নতুন প্রকল্পের সূচনা করছেন।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প প্রথম শুরু করেন। মূলত রাজ্যের মহিলাদের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু হয়। প্রথম অবস্থায় রাজ্যের জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা। এবং বিভিন্ন সংরক্ষিত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা ধার্য করা হয়। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে রাজ্য সরকার ভাতার পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং সংরক্ষণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাজ্যে লক্ষী ভান্ডার এর আদলে যে প্রকল্প গুলো চালু হয়েছে সেখানে ভাতার পরিমাণ আরো বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণে এই লক্ষী ভান্ডারীর পরিমাণ বৃদ্ধির জল্পনা উঠেছে। তবে এই ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি কবে হবে তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। অনেকে বলছে পুজোর আগে বাঙালি ঘরের মেয়েদের মুখের হাসি ফুটোতে এই টাকার পরিমাণ বাড়াতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। WB Lakshmir Bhandar Scheme Update
সব জল্পনা আরো অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী লক্ষী ভান্ডার নিয়ে তার বক্তব্য রাখলেন। যেহেতু দীর্ঘদিন লক্ষী ভান্ডার নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম বন্ধ ছিল সে কারণে আগামী ইংরেজি ডিসেম্বর মাস থেকে লক্ষ্মী ভাণ্ডারে ( Lakshmir Bhandar ) আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। একই সঙ্গে জানান, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী জন্য ৬০,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। ইতিমধ্যেই বাংলার প্রায় ২ কোটির বেশি মহিলা লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প সুবিধা পাচ্ছেন বলে খবর। বেশ কিছু লক্ষ্মী বান্দার আবেদন জমা পড়েছে, সে আবেদন ভেরিফিকেশনের কাজ পুজোর মধ্যেই সম্পূর্ণ করা হবে। পুজোর পরবর্তীতে অর্থাৎ ডিসেম্বর নাগাদ নতুন করে এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পেও কাজ আবার শুরু হবে। তাই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে যাদের নাম এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি তারা আগামী ডিসেম্বরে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
This website uses cookies.