ভারতবর্ষ হল কৃষি প্রধান দেশ। আর এই দেশের কৃষকরা, অত্যন্ত গরিব। তাই কৃষি কাজের জন্য উন্নত মানের যন্ত্রপাতি তারা কিনতে পারেনা। আমাদের এই দেশের কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার কৃষিকাজের উন্নতির জন্য নানান ধরনের প্রকল্পের উদ্ভাবন ঘটিয়েছে। কেন্দ্র সরকার যেমন কৃষান সংযোজনার সৃষ্টি করেছে এর পাশাপাশি রাজ্যের রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প।WB Govt Scheme
কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জন্য এক বড় ধরনের ঘোষণা করেছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার চাষীদের ৪০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিবছরে দিয়ে থাকে। তবে এই টাকাটি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে একবারে আসে না। কিস্তির মাধ্যমে কৃষকরা এই টাকা পেয়ে থাকে। খারিফ শস্য এবং রবিশস্যের সময় এই টাকাটি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। এইবার বর্ষাতেও কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কিস্তির টাকা আসবে।WB Govt Krishak bandhu Scheme
এক সুত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে এই বছর রাজ্যের দেড় কোটি কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার ২৯০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছে। বহু কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের কিস্তির টাকা পেয়ে গেছেন। কেউ কেউ আবার সামনেই পেতে চলেছেন। তবে যদি আপনি এই বারের কিস্তির টাকা না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে শীঘ্রই যোগাযোগ করতে হবে নিকটবর্তী CSC সেন্টারে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে যা জানিয়েছেন তাহল “২০১৯ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের মোট ১৮ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা দিয়েছি। ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনো কৃষক মারা গেলে তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা বাবদ ২০১৯ সাল থেকে মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবারকে মোট ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়েছে।” WB Govt Scheme
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ওয়েবসাইটের হোমপেজে গিয়ে Beneficiary Status অপশনে ক্লিক করলেই একটি নতুন পেজ আপনার সামনে ওপেন হবে। আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ভোটার কার্ড নম্বর, ব্যাংকের তথ্য ইনপুট করলে অনলাইনের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেখা যাবে। যদি দেখেন Payment Successfully তাহলে জানবেন আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেছে। একই পদ্ধতিতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের লিস্টটাও চেক করতে পারবেন।
ভূমি সংস্করণ বিভাগে DEO পদে একাধিক শূন্যপদ পূরণ, তড়িঘড়ি আবেদন করুন
যারা এখনো পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নাম নথিভূক্ত করাননি তারা শীঘ্রই এই প্রকল্পের আওতায় এসে রাজ্য সরকারের দেওয়া সুবিধা উপভোগ করুন।
Written By Nupur Chattopadhyay
This website uses cookies.