বঙ্গবাসীর কথা মাথায় রেখে একাধিক প্রকল্পের সৃষ্টি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার শ্রেষ্ঠ প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই সকল প্রকল্প চালুর একটাই উদ্দেশ্য তা হল রাজ্যের মানুষের কল্যাণ সাধন করা। তবে এবার ব্যবসার মূলধনের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যও করবে রাজ্য সরকার (Government Funding for Business)। WB Govt Business Scheme
রাজ্যবাসী সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকল্পের সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প সৃষ্টি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য হল মুখ্যমন্ত্রী নাকি ভাতা দিয়েই কার্যত দায় সারতে চান। ব্যবসা বা চাকরি ক্ষেত্রে তিনি তরুণ-তরুণীদের কোনো সাহায্য করছেন না। এবার বিরোধীদের মুখের উপর জবাব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নয়া স্কিম চালু করলেন।
কারা এই স্কিমের সুবিধা পাবেন?
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের তরফ থেকে এই স্কিম এর ব্যবস্থা করেছে রাজ্যবাসীদের জন্য। গ্রাহকদের জন্য নানান স্কিমের সুবিধা রয়েছে। রাজ্যের কৃষক, এফপিসি, এফপিও শ্রেণীর মানুষরা এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। WB Govt Business Scheme
কোন ব্যবসা করলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে?
বেশ কয়েক টি ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
মশলা চাষ- যে সকল কৃষকরা মসলা চাষ করেন তারা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবেন। এই প্রকল্প নতুনভাবে শুরু করলে প্রকল্প তৈরীর সম্পূর্ণ খরচের ৪০ শতাংশ হিসাবে অর্থাৎ সর্বাধিক ১২০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবে কৃষকরা। এই অনুদান পাওয়া যাবে প্রতি হেক্টর জমি হিসাবে।
ফলের প্যাকেজিং :- যদি কোনো ব্যক্তি ফলের প্যাকেজিং হাউস করে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে তাঁকে এই ব্যাপারে সহায়তা দান করবে সরকার। ৯ মিটার × ৬ মিটারের একটি প্যাকেজিং হাউস তৈরী করতে যে টাকা খরচ হবে তার ৫০% টাকা অনুদান হিসাবে পাওয়া যেতে পারে। প্রতি প্যাকেজিং হাউস পিছু অনুদানের সর্বোচ্চ সীমা হল ২ লক্ষ টাকা।
পাওয়ার টিলার – পাওয়ার টিলার নিতে গেলে সরকারি সাহায্য পাওয়া যাবে। ৮ হর্স পাওয়ার বা তার থেকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার টিলারের জন্য সরকার অনুদান দেবে। এই প্রকল্পের মোট খরচের ৪০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যায়। আর এই অনুদানের সর্বোচ্চ পরিমাণ হল ৭৫০০০ টাকা প্রতি ইউনিট হিসাবে। WB Govt Business Scheme
পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র :- ২৫ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সরকারি অনুদান পাওয়া যাবে। যদি কোনো কৃষক এই ধরনের প্রকল্প করতে চান তবে তিনি প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৭৫০০ টাকা করে পেতে পারেন।
গ্রীন হাউস রুম :- গ্রীন হাউস রুম তৈরি করার জন্য সরকারি অনুদানের সাহায্য পাওয়া যায়। এই গ্রীন হাউজ রুম তৈরি করতে মোট যে টাকা খরচ হবে তার ৫০ শতাংশ অনুদান সরকার দেবে। প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ হল ৫৩০। কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বর্গমিটারের জমিতে এই কাজটা করলে তবে অনুদানটি পাওয়া যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বসময়ই পশ্চিমবঙ্গের যুবক যুবতীদের কর্মে নিযুক্ত হওয়ার বার্তা দেন। সেই কর্মটি একটি ব্যবসা হতে পারে। এবার ব্যবসা করার জন্য তিনি বাংলার তরুণ তরুণীদের আর্থিক অনুদানের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। Written by Nupur Chattopadhyay
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
This website uses cookies.