Business Idea With Small Investment : ঘরে বসে মাসিক আয় ৪০ হাজারেরও বেশি। এই ব্যবসাটি মন দিয়ে করতে পারলে আপনার চাকরির প্রয়োজন হবে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যাক্তি সরকারি চাকরির ছেড়ে দিয়ে এই ব্যবসায় লাভবান হয়েছেন। প্রদীপ ভাই পারমার নামের এক ব্যক্তি জানালেন তিনি বাড়ি বসে মাসে ৪০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করেন। আপনাদের মধ্যে যারা বেকার যুবক-যুবতী রয়েছেন তারা বাড়ি বসে অনায়াসে ব্যবসাটি করতে পারেন।
এছাড়াও অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা অনায়াসে পাশাপাশি ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করতে বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। যারা শুধুমাত্র লিখতে এবং পড়তে জানে তারাও অনায়াসে ব্যবসাটি করতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য কার্যকারী ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। তাই ব্যবসাটি শুরু করার আগে প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখুন।
বর্তমানে দেশে দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে চলেছে। তবে বাজারে বেশ কিছু প্যাকেট যাতে দুধের প্রচলন রয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ প্যাকেটের দুধ পছন্দ করেন না। এই কারণে দেশি গরুর দুধ চড়া মূল্যে বিক্রি হয়। বর্তমানে বাজারে লিটার প্রতি দুধের মূল্য ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। তাই দেশী গরুর চাহিদা রয়েছে। তবে আমাদের রাজ্যে দেশে গরুর দুধ উৎপাদন খুব কম। তবে গুজরাট এবং রাজস্থান মত রাজ্যগুলিতে উন্নত শ্রেণীর দেশি গরু পাওয়া যায়।
এর মধ্যে অন্যতম একটি দেশী গরুর প্রজাতি হলো গির। গির প্রজাতির গাভী গুলো মূলত গুজরাট এবং রাজস্থান রাজ্যে পাওয়া যায়। একটি ভাল জাতের গির গাভী ১৪ থেকে ১৬ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। আমরেলি জেলার মানুষ পশুপালন করেই জীবনধারণ করেন বেশিরভাগ। গবাদি পশু থেকে লক্ষাধিক আয় করছেন কেউ কেউ। প্রদীপ ভাই পারমার নামের এক ব্যক্তি জানালেন তিনি বাড়ি বসে মাসে ৪০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করেন।
তাই আপনারাও গবাদি পশু পালন করে দুধ বিক্রি করে অনায়াসে লাভবান হতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে গিড় প্রজাতির উন্নত গাভী আমদানি করতে হবে। পরবর্তীকাল আপনার নিকট গাভীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা বিক্রির মাধ্যমেও প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। সৌরাষ্ট্রে একটি গির গরুর দাম লক্ষাধিক টাকা। তাই বর্তমানে বহু গাভী ব্যবসায়ীরা রাজস্থান ও গুজরাট থেকে গাভি আমদানী করে বাংলা, বিহার এবং আসাম রাজ্যগুলিতে চড়া দামে বিক্রি করছে।
আপনি গবাদি পশুর ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে নামতে হবে। আপনি যদি উন্নত প্রজাতির গির গাভী না কিনে প্রাথমিক অবস্থায় ছোট বাছুর কিনেন তাহলে অল্প পুঁজিতে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। কারণ দুগ্ধ গাভীর তুলনায় বাছুরের মূল্য বহু গুণ কম। এক একটা দুগ্ধ প্রদানকারী গাভীর দাম যেখানে লক্ষ টাকার বেশি সেখানে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি বাছুর পেয়ে যাবেন। আপনি সর্বমোট দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যবসায় নামলে।
প্রাথমিক অবস্থায় আপনি চারটি বাছুর যদি কেনেন। কুড়ি হাজার টাকা করে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। এবার বাকি ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকায় আপনি গরুর থাকার ঘর নির্মাণ করবেন। বাকি কুড়ি হাজার টাকায় গরুর খাওয়া দাওয়া খরচ হবে। এবার বাছুরগুলি বছর খানেক লালন পালন করলেই গাভীতে পরিণত হবে।
পরবর্তীকালে গাভী গুলি দুধ বিক্রি করে অথবা বিক্রি করে অধিক মুনাফার অধিকারী হতে পারবেন। এছাড়াও গাভীর গোবর সার হিসেবে বিক্রি করেও কিছু টাকা পাবেন। বর্তমানে গোবর সারের বেশ চাহিদা রয়েছে।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চাকরির খবর সহ বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের খবর পেতে আমাদের সঙ্গে জুড়ে থাকবেন। নিচে WhatsApp Channel ও Telegram Channel জয়েন লিঙ্ক দেওয়া হল।
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
This website uses cookies.