কিছুদিন আগেই ভারতবর্ষে শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েছে এনডিয়ে জোট। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর আসনে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর সম্প্রতি বাজেট পেশ করতে চলেছে বিজেপি সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে আংশিক বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় এই অর্থমন্ত্রী। তবে এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কোন কোন স্তরের মানুষের জন্য কি কি চমক রয়েছে সেগুলোই এখন মূল আলোচ্য বিষয়। All India Non Govt Job Update

Non govt job update

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এইবার পূর্ণাঙ্গ বাজেটে প্রাইভেট কোম্পানির এমপ্লয়ীদের জন্য বিশেষ ধরনের সুবিধা আসতে পারে। বেসরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে বিজেপি সরকার। প্রভিডেন্ট ফান্ড এর পাশাপাশি বেসরকারি কর্মীদের বেতনও বর্ধিত হতে পারে। এতদিন পর্যন্ত বেসরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কর্মীদের ১৫ হাজার টাকা বেতন হতে হতো। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে আসন্ন বাজেটে এই বেতনের সীমা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। Private Job Update

একসুত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে যে কেন্দ্র সরকার বেসরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা বাড়ানো নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। শ্রম মন্ত্রক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হোক। পুরনো হিসাব এর দিকে তাকালে দেখা যায় ১৯৫৭ সালের পর থেকে একটু একটু করে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা রাখা হয়েছিল ৬৫০০ টাকা। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই সীমা ছিল ১৫০০০ টাকা। ২০২৪ এসে হয়তো এই বেতন ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা দেখব যে ১৯৫৭ সালের পর থেকে কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা বর্ধিত করা হচ্ছে। Non Govt Job Update

১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত বেসরকারি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেতন সীমা ছিল ৩০০ টাকা। ৫০০ টাকা বেতন সীমা করা হয় ১৯৫৭ সালের ১ লা জুন। ১৯৬২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর বেতন সীমা বর্ধিত করা হয়। তখন ১০০০ টাকা বেতন ধার্য করা হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল অব্দি বেতন সীমা করা হয় ১৬০০ টাকা। ১৯৮৫ সালের শেষে এই বেতন সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বেতন করা হয় ২৫০০ টাকা। ১৯৯০ এর শেষের দিকে এই বেতন সীমা ৩৫০০ টাকা স্থির করা হয়। ১৯৯৪ সালে এই বেতন সীমা ১ লাফে হয় ৫০০০ টাকা। এরপর আবারো বেতন সীমা বাড়িয়ে ৬৫০০ টাকা করা হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেতন অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা হতো। ২০১৪ এর পর বেতন সীমা করা হয় ১৫ হাজার টাকা। গত দশ বছর ধরে এই ১৫ হাজার টাকা বেতন সীমায়ই রয়েছে। এবার হয়তো ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এই বেতনসীমা একদম ২৫ হাজার টাকার দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে পারে। All India Non Govt job Update

রাজ্যের সরকারি ও অস্থায়ী কর্মীদের জন্য বিরাট সুসংবাদ, আকাশে বাতাসে খুশির হাওয়া – WB Govt Job Update

বেসরকারি কর্মীদের অবসরপ্রাপ্ত তহবিলের জন্য এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সূচনা করা হয়। বেসরকারি কর্মীদের অবসর যাপনের পর আর্থিক সুরাহারের জন্যই এই প্রভিডেন্ট ফান্ডকে তৈরি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী একজন কর্মীর বেসিক পের ১২ শতাংশ জমা দেওয়া যায় এই প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে অপরদিকে ওই কর্মীটি যে সংস্থায় চাকরি করেন সেই সংস্থাও সেম অ্যামাউন্ট এর টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা করবে। এই টাকার কিছুটা অংশ যায় পেনশন স্কিমে আর কিছুটা যায় হেলথ স্কিমের জন্য। এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কেন্দ্র সরকার এই প্রভিডেন্ট ফান্ড এর বেতনসীমা বর্ধিত করার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এবার দেখার বিষয় যে এই বর্ধিত বেতন কর্মীদের কাছে আশীর্বাদ না অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।Written by Nupur Chattopadhyay

WhatsApp ChannelJoin Now
Telegram ChannelJoin Now