বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের বহু উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি আমাদের দেশের নারীদের। এই সমাজে নারীদের নিয়ে বেশ কিছু চিন্তাভাবনার কমতি দেখা গেছে। কয়েকটি শহর এবং শহরকেন্দ্রিক এলাকা বাদ দিয়ে বেশিরভাগ জায়গার নারীরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েরা পড়াশুনাতে ভালো হয়েও তাদের আর্থিক সঙ্গতির অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে না করতেই ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে, আবার বহু ক্ষেত্রেই মেয়েরা যৌন লালসার শিকার হচ্ছে।
মেয়েদের এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের আয়োজন করে থাকে। আজকের প্রতিবেদনে এই বিভিন্ন স্কলারশিপগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কোটাক কন্যা বৃত্তি
কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক থেকে ছাত্রীদের পড়াশোনার কাজে সহায়তা দান করার জন্য বছরে দেড় লক্ষ টাকা স্কলারশিপ দেয়। ভারতবর্ষের সকল ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
আবেদন করার শর্ত
১) কোটাক কন্যা বৃত্তিতে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বা কোনো পেশাদার কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
২) এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বাৎসরিক আয় হতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে।
কন্যাশ্রী K3 স্কলারশিপ
কন্যাশ্রী K3 প্রকল্পটি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের সুবিধাধীন।
এই প্রকল্পটি রাজ্য সরকার (West Bengal Government Scholarship) প্রদান করে থাকে। রাজ্যের কন্যা সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী K3 প্রকল্পটি দিয়ে থাকে।
বৃত্তির পরিমাণ- কন্যাশ্রী K3 প্রকল্পের মাধ্যমে কলা বিভাগের ছাত্রীদের মাসে ২০০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীদের ২৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।
কারা কারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন ?
যে সকল ছাত্রীরা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে ৪৫% নন্বর থাকা বাঞ্ছনীয়।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ
ব্যাঙ্গালোরের সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে যে স্কলারশিপটি মেয়েদের জন্য প্রদান করা হয় তার নাম সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপটি ছাত্রছাত্রী উভয়কেই দেওয়া হলেও ছাত্রীদের অগ্ৰাধিকার দেওয়া হয়। মাধ্যমিক পাশ করার পর যেকোনো হায়ার স্টাডিতে পাঠরতা ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বৃত্তির পরিমাণ – এই বৃত্তির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
যে সকল প্রার্থীরা মাধ্যমিক পাশ করার পর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তবে পারিবারিক আয় ২ লক্ষ টাকার উপরে হওয়া যাবে না।
প্রগতি বৃত্তি স্কলারশিপ
প্রগতি বৃত্তি স্কলারশিপ নামে এই স্কলারশিপটিতে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই All India Council for Technical Education এর অন্তর্গত কোনো ডিপ্লোমা বা ডিগ্রী কোর্সে পাঠরত হতে হবে।
বৃত্তির পরিমাণ- ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা।
কারা কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০% নম্বর থাকা বাঞ্ছনীয়। পারিবারিক আয় দুই লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না।
বিজ্ঞানী কন্যা মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ
বিজ্ঞানী কন্যা মেধাবৃত্তি স্কলারশিপের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের জুনিয়ার বিজ্ঞানী কন্যাদের জন্য ১২৫০ টাকা এবং বই কেনার জন্য ২৫০০ টাকা পাওয়া যায়। সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা অর্থাৎ যারা গ্র্যাজুয়েশন করছে পাঠরতা, তারা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা এবং বই কেনার জন্য এককালীন ৫০০০ টাকা পেতে পারে।
কারা আবেদন করতে পারবেন
যে ছাত্রছাত্রীরা ৭৫% নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করার পরে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন তারা এই পদের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। অপরদিকে পারিবারিক আয় তিন লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না। Written by Nupur Chattopadhyay
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |
I write content for several years. I have well experience in job related content writing. Besides I write Government update related content such as Government announced, Schemes and Education related many content.