WBBPE: প্রাইমারি টেট পাস চাকরি প্রার্থীদের দুর্ভোগের অবসান ঘটতে চলেছে। অবশেষে ২০১৪ বনাম ২০১৭ সালের টেট পাশ ইস্যুতে চূড়ান্ত শুনানির পর রায় রিজার্ভ রাখল সর্বোচ্চ আদালত। গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় রিজার্ভ রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হতে চলেছে। তাই দীর্ঘদিন যাবত যে সমস্ত টেট পাস চাকরি প্রার্থীরা বিচারপতির ফাইনাল রায়ের অপেক্ষায় বসে ছিলেন তাদের প্রতীক্ষার অবসান হলো। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিচারপতি তার বহু আকাঙ্খিত রায় প্রকাশিত করতে চলেছেন। যার ফলে বহু মানুষ তার যোগ্য সম্মান ফিরে পেতে চলেছেন।
বিচারপতি সর্বোচ্চ আদালতে ফাইনাল রায় ঘোষণার আগে প্রাথমিক পর্ষদের একাধিক বেনিয়ম দেখা দিয়েছে যার ফলে তাদের ভৎসনা শুনতে হল। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা দু-বছরের ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছে, তারাই কেবলমাত্র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। প্রশিক্ষণহীন অথবা দু বছরের কম ট্রেনিংপ্রাপ্ত টেট পাশ প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। পর্ষদ সভাপতির এই দুই রকম নির্দেশের কারণে চরম দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। পূর্বে পর্ষদ সভাপতি বলেছিল যাদের দু বছরের ডিএল এড কোর্স সম্পূর্ণ নেই তারাও অংশ নিতে পারবে। বারবার এভাবে অবস্থান বদল করায় আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ সভাপতি। এই দিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি মনোজ মিশ্র পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে একাধিক প্রশ্নের মাধ্যমে বলেন কেন বার বার অবস্থান বদল করছে পর্ষদ? এই নিয়ে পর্ষদ সভাপতির আইনজীবী জানান, বর্তমানে এর কোনো সদ উত্তর নেই আমাদের কাছে।
এদিকে ২০১৪ প্রাথমিক টেট পাস চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী উচ্চ আদালতে সাবাল করেন যেহেতু এখনও ২০১৪ সালের টেট পাশ চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের পর এখনো ২ হাজার ২৩২ শূন্যপদ রয়েছে। তাই এই বিপুল সংখ্যক শূন্য পদে ২০১৪ সালে টেট পাশ কিন্তু সেই সময় ডিএলএড কোর্স অসম্পূর্ণ থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ পত্র প্রদান করা হোক। তবে তাদের এই দাবি মেনে নিলে একাধিক আইন লংঘন হবে বলে অনেকে মনে করছে। যেহেতু ২০১৪ সালে প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় তাদের ডি এল এড কোর্স সম্পূর্ণ ছিল না তাই নিয়ম অনুযায়ী তারা বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ পাবেন না। তবে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ফাইনাল রায় কি ঘোষণা হতে চলেছে তার দিকেই সকলের নজর রয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে সুপারভাইজার সহ ২৮ ধরনের পদে নিয়োগ, ২৩ জেলা থেকে সুযোগ – WBPDCL Job Recruitment
তবে যাই হোক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ২০১৪ বনাম ২০১৭ সালের টেট পাশ প্রার্থীদের চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হতে চলেছে। তাই যে সকল চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত ২০১৪ প্রাথমিক টেট পাশ অথচ ডি এল এর সম্পূর্ণ নয় এই কেস রায়ের অপেক্ষায় বসে ছিলেন তাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। এছাড়াও পর্ষদ সভাপতিকে একাধিক বেনিয়মের জেরে ভৎসনা শুনতে হয়েছে। তাই আশা করা যায় আগামীতে টেটপাশ চাকরি প্রার্থীদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর বাধা রইল না। আগামীতে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছেন। তাই আপনি একজন প্রাথমিক টেট পাস চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি চালিয়ে যান। এই সংক্রান্ত পরবর্তী আপডেট প্রকাশিত হলে আপনাদের জানানো হবে।