India Post Scheme :ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা হলো, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনারা টাকা বিনিয়োগ করে কিছু দিনের মধ্যেই মালামাল হতে পারবেন। বন্ধুরা, ভারতীয় ডাক বিভাগ জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যে এক এক সময় নতুন প্রকল্পের সূচনা করে। যার সুবিধার দেশের সাধারণ থেকে মধ্যবিত্ত পরিবার পেয়ে থাকে। ভারতীয় ডাক বিভাগ যেহেতু সরকারি সংস্থা তাই অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর তুলনায় এর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। তাই অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতীয় ডাক বিভাগকেই সকলে বেছে নেয়।
ডাক বিভাগ বর্তমানে যে প্রকল্পের সূচনা করেছেন তার মাধ্যমে অর্থ বিনিয়োগ করে মাত্র পাঁচ বছরেই আপনি পেতে পারেন মাসিক ৪ লক্ষ টাকার সুদ। এছাড়াও অন্যান্য প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ডাক বিভাগের এই প্রকল্পটির নাম হল পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম। নিম্নে এই স্কিম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো।
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম ( India Post Scheme) : –
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম (Post Office Time Deposit Scheme) হল একটি নিরাপদ বিনিয়োগ পদ্ধতি, যা ভারতীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি একটি ফিক্সড ডিপোজিটের মতো স্কিম, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রেখে বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট সুদের হার উপভোগ করতে পারেন। এই স্কিমটি সাধারণত সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য আদর্শ, কারণ এটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি প্রকল্প।
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে সুবিধা: –
পোস্ট অফিস টার্ম ডিপোজিটের অধীনে, এক বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত টাকা রাখার সুবিধা রয়েছে। এখানে যদি বিনিয়োগকারী ১ বছরের জন্য টাকা রাখেন তাহলে সেই টাকার উপরে ৬.৯% সুদ দেওয়া হয়। ২ বছরের টার্ম ডিপোজিটের মেয়াদের জন্য, বিনিয়োগ কারীদের ৭.০% সুদ দেওয়া হয়। ৩ বছরে মেয়াদের টার্ম ডিপোজিটের প্রদত্ত সুদের পরিমাণ ৭.১% । পোস্ট অফিস ৫ বছরের জন্য একটি টার্ম ডিপোজিট স্কিমের অধীনে সর্বোচ্চ সুদ ৭.৫%। এই স্কিমের অধীনে প্রতিদিন ২,৭৭৮ টাকা সঞ্চয় করেন তাহলে এক বছর পর অন্তত ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হবে , এই বিনিয়োগ থেকে ৫ বছরে আপনার শুধুমাত্র সুদের থেকে ৪,৪৯,৯৪৮ টাকা উপার্জন করবেন। পাঁচ বছরে মোট টাকার পরিমাণ হবে ১৪,৪৯,৯৪৮ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি: –
আগ্রহী ব্যক্তিদের আবেদনের জন্য বাড়ির নিকটবর্তী কোনো পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে গিয়ে টাইম ডিপোজিট স্কিমের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করার পর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা এবং বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ করুন। এর পরবর্তীকালে ফর্মে উল্লেখিত নির্দেশ মতো। একক বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নির্ধারিত ঘর চিহ্নিত করুন। এরপর আবেদন ফরম এর সঙ্গে পরিচয়পত্র যথা- প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি যুক্ত করুন।
এরপর আবেদন ফরমটি নিকটবর্তী ডাক বিভাগ জমা করুন। জমা করার পর আপনারা চেক, ক্যাশ, বা পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিনিয়োগের অর্থ জমা দিন। অর্থ জমা দেওয়ার পরে, পোস্ট অফিস একটি প্রাথমিক রসিদ দেবে, যা আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার প্রমাণ।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র: –
আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত নথিপত্রের প্রয়োজন রয়েছে, যথা –
- ১. আবেদনকারীর আধার কার্ড অথবা ভোটার আইডি।
- ২. আধার কার্ড না থাকলে বিদ্যুৎ বিল অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা পাসবুক (ঠিকানা সম্বলিত)।
- ৩. সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ২টি রঙিন ছবি।
- ৪. আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের জন্য প্যান কার্ড জমা বাধ্যতামূলক। যদি প্যান কার্ড না থাকে, তবে ফর্ম ৬০ পূরণ করতে হবে।
আমাদের সঙ্গে জুড়ে থাকুন
WhatsApp Channel | Join Now |
Telegram Channel | Join Now |